Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মামলার আবেদন

গ্রাম আদালত গ্রামীন মানুষের কাছে ‘আশার আলো’ জাগিয়েছে। বিচারপ্রার্থীরা কোর্ট-আদালতে না দৌড়ে সহজেই নিজের ইউনিয়নে বিচার কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারছে। ফলে বিচারপ্রার্থীরা একদিকে ন্যায় বিচার পাচ্ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে না। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও বিচারপ্রার্থীদের নির্বাচিত বিচারকরা আন্তরিকভাবে পপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতিবিহীন বিচার কাজ সম্পন্ন করছে। খোঁজ নিয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গ্রামীন আদালতের  বিচার কাজ স্বচ্ছ এবং আন্তরিক পরিবেশে। বিচারকরা পরিচিত হওয়ায় বাদী-বিবাদীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এছাড়া, আনুষঙ্গিক খরচ কমে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা আদালতমুখী হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধিরা জটিল সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন সহজেই। বিজয়নগর উপজেলায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম  চলছে। আদালত চলে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পরিষদ মিলনায়তনে। মূল বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইউপি চেয়ারম্যান। তাকে সাহায্য করেন ইউপির দুই সদস্য। মহিলা বিষয়ক সমস্যা হলে একজন মহিলা ইউপি সদস্য থাকেন। এছাড়া বাদী-বিবাদীর একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন এ আদালতে সদস্য হিসেবে। গ্রামীণ আদালত সূত্রে জানা যায়, এ বিচারিক আদালতে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে। এ আদালাতে বিচারপ্রার্থী হতে হলে বাদীকে ইউনিয়নের নিজস্ব ফরম সংগ্রহ করে দেওয়ানি মামলার জন্য ৪টাকা, ফৌজদারী মামলার জন্য ২ টাকা, পারিবারিক আদালতে মামলা হলে ২৫টাকা ফি দিয়ে জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়

 

গ্রাম আদালতে মামলার আবেদন পত্রে কি কি তথ্য দিতে হবে?

১। আবেদন পত্রটি লিখিতভাবে দাখিল করতে হবে।

২। যে ইউনিয়ন পরিষদের নিকট আবেদন করা হবে সে ইউনিয়ন পরিষদের নাম ঠিকানা থাকতে হবে।

৩। আবেদনকারী এবং প্রতিবাদীর নাম,ঠিকানা ও পরিচয় থাকতে হবে।

৪। সাক্ষী থাকলে সাক্ষীর নাম,ঠিকানা ও পরিচয় থাকতে হবে।

৫। ঘটনা,ঘটনা উদ্ভবের কারণ,ঘটনার সথান ও ইউনিয়ননের নাম,সময়,তারিখ থাকতে হবে।

৬। নালিশ বা দাবির ধরন,মূল্যমান থাকতে হবে।

৭। ক্ষতির পরিমাণ,প্রার্থিত প্রতিকার থাকতে হবে।

৮। পক্ষদ্বয়ের সম্পর্ক উল্লেখ থাকতে হবে।

৯। সাক্ষীদের ভূমিকা থাকতে হবে।

১০। মামলা বিলম্বে দায়ের করা হলে তার কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।

১১। আবেদকারীর সাক্ষর থাকতে হবে।

১২। মামলা দায়েরের তারিখ থাকতে হবে। (ধারা ৩)